নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলে পারিবারিক কলহের জের ধরে শেফা (২০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে শেফার শশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।নিহত শেফা নড়াইল সদর উপজেলার বড়কুলা গ্রামের আক্তার খানের মেয়ে। প্লাবন একই উপজেলার মীর্জাপুর গ্রামের ইমরুল মোল্যার ছেলে।
মীর্জাপুর গ্রামের প্লাবনের প্রতিবেশি শেফার মামা বলেন, এদের বাড়ি থেকে আমার বাড়ি এক মিনিটের পথ অথচ আমাকে জানানো হয়েছে অনেক পরে আমি গিয়ে দেখি আমার ভাগিনীর গলায় কালো দাগ তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শেফার বড় দুলাভাই একই গ্রামের সেলিম শেখ জানান,প্লাবনের মামা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এসে আমাকে ডেকে বলে শেফা অসুস্থ হয়েছে তুমি ব্যস্ত হয়ে আস। আমি ও আমার স্ত্রী দ্রুত তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখি শেফাকে খাটের পরে শোয়ানো রয়েছে এবং আশেপাশে রক্ত পড়ে থাকতে দেখি। এরপর আমি দ্রুত স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি বলেন, রোগী মারা গেছে।
শেফার মেঝো দুলাভাই একই উপজেলার তারাপুর গ্রামের ইমরুল মোল্যা বলেন, প্লাবন রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফোন দিয়ে বলে শেফার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে আপনি দ্রুত আসেন। আমি প্লাবনদের বাড়িতে গিয়ে দেখি শেফার লাশ মেঝেতে পড়ে আছে। এর পর আমার শশুর বাড়ির লোকজন এসে গলায় স্পষ্ট কালো দাগ দেখতে পাই। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক কলহ চলছিল। তাকে হত্যার দিনেও স্মার্ট ফোন কেনার জন্য প্লাবনকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। শেফার ৭ মাস বয়সের ছেলে রয়েছে। শেফার সিজারের সময় সমস্ত খরচ আমার শশুর বহন করেছে। সে সময়ও তারা কোন খোজখবর নেয়নি আজকেও হাসপাতালে কেউ আসেনি।শেফাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে আমরা এর বিচার চাই।
মীর্জাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনচার্জ এস আই এস এম রেজাউল করিম জানান, মীর্জাপুর গ্রামের এক গৃহবধূর আত্তহত্যা করছে বলে শুনেছি,লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে হত্যা নাকি আত্তহত্যা।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মির্জা মাহামুদ হোসেন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোঃ রায়হান হুসাইন
হেড অফিস : মির্জা প্লাজা, রামকৃষ্ণ আশ্রম রোড, রুপগন্জ বাজার, নড়াইল সদর, নড়াইল।
বার্তা কহ্ম : 01993287209
Copyright © 2024 নড়াইল সংবাদ. All rights reserved.