নড়াইল প্রতিনিধি ঃ
নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের পক্ষাঘাতগ্রস্থ (প্যারালাইজড) আঃ শুকুর মোল্লার বিরুদ্ধে মিথ্যা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন পুত্রবধূ সিনথিয়া রহমান এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি ।
পুত্রবধূ সিনথিয়া রহমান নিজের পরকীয়ার সম্পর্ক পাকাপোক্ত করতেই এমন নাটক সাজিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
গত ২০ শে জানুয়ারী গভীররাতে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সিনথিয়াকে হাতে নাতে ধরে ফেলে তার শশুর শাশুড়ী, সকালে এইনিয়ে সিনথিয়ার বাবার বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বললে তারা সিনথিয়ার ফোনটি আটক রাখতে বলেন, সিনথিয়ার আপন খালু আলম মোল্যা তার নিজ হেফাজতে রাখেন ফোনটি, আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সিনথিয়া তার শশুরের বিরুদ্ধে কথিত শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে বাড়ি থেকে ৫ বছরে কন্যা সন্তানকে ফেলে চলে যায়।
এ বিষয়ে সিনথিয়ার শাশুড়ি জানান, ১০ বছর পূর্বে খুলনা জেলার জনৈক মিজানুর রহমানের বড় মেয়ে সিনথিয়ার সাথে আমার ছেলে সবুজের বিয়ে দেই।
সিনথিয়াকে নিজের মেয়ের মত টাকা খরচ করে অনার্স পড়িয়েছি আমরা। তার কোন চাহিদা অপূর্ণ রাখিনি আমরা।
বিয়ের পর থেকেই সিনথিয়ার আচার ব্যবহার ভালো ছিল না। পর পুরুষের সাথে কথা বলতেই বালবাসতো সে। সিনথিয়াকে তার চালচলন ভাল করার জন্য বারবার বলা হলেও সে আরো খারাপ আচরন করতে থাকে।
বিয়ের দুই বছরের মাথায় আমরা জানতে পারি তার খালাতো ভাই বিপ্লবের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক চলছে। আমরা সে সময় পরকিয়া সম্পর্কে বাধা দিলে সে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
আমরা সব ভুলে তাকে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার চেষ্টা করতে থাকি একপর্যায়ে সে গর্ভবতী হয় এবং একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।
এই কন্যা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা সব ভুলে যাই।
গত চার মাস পূর্বে
সুন্দর জীবন যাপন ও আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরানোর আশায় আমার ছেলে সবুজ কুয়েত যায়।
ছেলে কুয়েত যাওয়ার পর সিনথিয়া আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে, সে গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনে বিভিন্ন লোকের সাথে কথা বলে। আমি হাতে নাতে কয়েকবার ধরেছি। তাকে ভাল হওয়ার সুযোগ দিয়েছি।
আজ সে সম্পূর্ণ নাটক সাজিয়ে আমার পক্ষাঘাতগ্রস্থ স্বামীকে দোষী বানিয়ে সমাজে আমাদের বদনাম করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেছে। এখন সমাজে আমাদের মুখ দেখানোর কোন উপায় নেই।
আমার স্বামী শুকুর মোল্লা প্রায় সাত বছর আগে স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে গেছিল, সে ঠিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারেনা , কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন সে। আজ তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কি নোংরা মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে শুকুর মোল্লা জানান, আমার পুত্র বধূ সিনথিয়াকে আমি আমার মেয়ের মত জানি, তার বিরুদ্ধে একাধিক পুরুষের সাথে পরকিয়া সম্পর্কের অভিযোগ থাকলেও তাকে আমরা কখনো অসম্মান করিনি।নিজের মেয়ের মর্যাদায় রেখেছিলাম।
আজকে সে তার পরকীয়া সম্পর্ক পাকাপোক্ত করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ এনেছে । সমাজে আমার মান সম্মান সব শেষ করে দিয়েছে। আমার আত্নহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, শুকুর মোল্যা সমাজের একজন বিশিষ্ট্য ব্যক্তি, এলাকায় ন্যায় সঙ্গত শালিস বিচার করার কারনে তার অনেক প্রতিপক্ষ রয়েছে। তারাই তার পূত্রবধূকে দিয়ে তাকে বিপদে ফেলেছে।
এই ঘটনাকে পুঁজি করে এলাকার একশ্রেণীর মাতবর টাকা পয়সা নেওয়ার ধান্দায় নেমেছে। শুকুর মোল্যাকে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করতে মরিয়া তারা।