নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইল জেলা যুবলীগের সম্মেলন ও নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত হয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ ২৮ বছর পর নড়াইল জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এ সম্মেলন ও কমিটি গঠনকে ঘিরে নড়াইল জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ।
এখানে নড়াইল জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শীর্ষ আলোচনায় রয়েছেন পরিচ্ছন্ন ও মেধাবী রাজনীতিবিদ এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বসু।
জেলা যুবলীগের আসন্ন সম্মেলনে সাবেক এই ছাত্রনেতাকে শীর্ষ নেতৃত্বে দেখতে চায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, সৎ ও পরিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে রাজনীতিতে আলাদা ইমেজ রয়েছে সৌমেন বসুর। তাই তাকে মূল্যায়ন করবেন বলে আশাবাদী তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাকে নিয়ে বেশ আগ্রহ ও প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূলের সাধারণ কর্মীদের মাঝে।
প্রসঙ্গত জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ১০ জন জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা জানান, দুর্দিনের কর্মী যারা ত্যাগী এবং পরীক্ষিত, একই সঙ্গে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আছে, এসব বিষয়গুলো যুবলীগের নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনায় থাকবে।
সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বসু বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শহীদ শেখ মনির সুযোগ্য উত্তরাধিকার, যুবলীগের ভিশনারী চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে ওঠা নেতৃত্ব যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি’র নেতৃত্বে সারাদেশের মতো নড়াইল জেলা যুবলীগও এই সম্মেলনের মাধ্যমে সুযোগ্য নেতৃত্ব পেয়ে সুসংগঠিত হয়ে এগিয়ে যাবে, এটাই যুবলীগের ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা। আর নড়াইলের যুবলীগের সম্মেলন হোক স্মরণকালের সেরা রাজনৈতিক মিলনমেলা। এই সম্মেলনে রাজনৈতিক কর্মীদের ঢল নামুক, প্রতিযোগিতার নামে প্রতিহিংসা নয়, সৌহার্দ্য- ভ্রাতৃত্ব আর আদর্শের মেলবন্ধন হোক। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, নড়াইল জেলা শাখার ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন সফল হোক।
জেলা, উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে জীবনবাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নড়াইলের যুবসমাজকে সাথে নিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন ৪১ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে চাই।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমার অতীত ত্যাগ, শ্রম ও অভিজ্ঞতা মূল্যায়ণ করবেন বলে আমি মনে করি’।