লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর.) সাধারণ কর্মসূচীর আওতায় ৩য় পর্যায়ের নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নে কুমড়ি সৈয়দ বাবর আলীর বাড়ীর পাশের খালের উপর কাঠের সাঁকো নির্মাণ নামের একটি প্রকল্প পাশ করে সরকার। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা দুই কিস্তিতে সম্পুর্ন টাকা প্রকল্পের পি.আই.সি ফারহানা ইয়াসমিন এর একাউন্টে হস্তান্তর করেন উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। কিন্তু প্রকল্পের পিআইসি ফারহানা প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে কুমড়ি গ্রামের সৈয়দ বাবর আলীর পিতা সৈয়দ জহিরুল ইসলামকে বুঝিয়ে দিয়ে সাঁকো নির্মানের কাজ শেষ করান।
এ বিষয়ে কথা হয় সৈয়দ জহিরুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা চেয়ারম্যান আমাদের বাড়ির সামনের খালের উপর একটি কাঠের সাঁকো নির্মানের জন্য একটা বরাদ্দ এনে দেন এবং আমাদেরকে জানানো হয়েছে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দের টাকার পরিমান ৫০ হাজার টাকা। এই টাকাই আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু সাঁকোটি নিজেরাই ব্যবহার করব তাই ওই টাকার সাথে আরও কিছু টাকা যোগ করে মজবুত করার চেষ্টা করেছি।
প্রকল্পের পিআইসি ফারহানা ইয়াসমিন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও গোপীনাথপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন সরদারের মেয়ে। বরাদ্দের এক লাখ টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সাঁকো নির্মানের কাজ শেষ করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ৫০ হাজার টাকা কোথায় গেলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর কাজ ছিল। আমি কুমড়ি গ্রামের মেয়ে হওয়ায় ওই প্রকল্পের পিআইসি আমাকে করা হয়েছে। আমি প্রথম কিস্তির টাকা ৫০ হাজার যারা কাজ করেছেন তাদেরকে দিয়ে দিয়েছি। কিছু টাকা অফিস ম্যানেজ করতে খরচ হয়েছে। আমার হাতে ৩৫ হাজার টাকা আছে পরে দিয়ে দেব।