প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৯, ২০২৪, ৭:৪১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৫, ২০২৪, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
নড়াইলে আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত একটি অসহায় পরিবার।
কৃপা বিশ্বাস, নড়াইল প্রতিনিধি ঃ
আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক অসহায় বৃদ্ধা মা। অভাবের সংসারে আলোর মুখ দেখতে ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর স্বপ্নই যেন কাল হল ওই মাতার।বড় আশা নিয়ে সুদে ধার দিনা হয়ে শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে ছেলে হায়দারকে বিদেশে পাঠায় ।বিদেশে গিয়ে মাস খানেক পর অসুস্থ হয়ে পড়ে হায়দার। পাসপোর্টে ভিসার মেয়াদ না থাকায় বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে না পেরে অবশেষে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হায়দার মোল্যা। এদিকে বিদেশ পাঠায়ে ৭ লাখ নিয়ে ও তৃপ্তি না মেটায় এবার লাশ ফেরত আনতে দাবি করা হয় আরো ৭ লাখ টাকা।একের পর এক ফোন করে দাবি করা হচ্ছে টাকা। টাকা দাবি করা এই আদম ব্যবসায়ী একই ইউনিয়নের সিঙ্গিয়া গ্রামের মোনছের মোল্যার ছেলে নাসির মোল্যা। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে। কোমখালী এলাকার একাধিক ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই নাসির মোল্যা। সম্প্রতি হায়দার মোল্যার মৃত্যু কে কেন্দ্র করে নাসিরের দৃষ্টান্ত মূলোক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। হায়দার মোল্যার ভাই এরশাদ মোল্যা বলেন, আমার ভাইকে বিদেশে নিয়ে কাজ দেয়নি। কাজ না পেয়ে দুঃচিন্তায় আমার ভাই মারা গেছে। এখন লাশ আনতে ৭ লাখ টাকা দাবি করছে নাসির। আমি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করি। কোমখালী গ্রামের এবাদত মুন্সি বলেন,আমার ছেলে তরিকুল মুন্সি ও ইমামুল মুন্সিকে বিদেশে পাঠানো কথা বলে ৬ লাখ করে মোট ১২ লাখ টাকা নিয়েছে নাসির। টাকা নিয়ে বিদেশে পাঠাতে পারিনি। এখন আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। জাকির মোল্যার ছেলে সোহান মোল্যা বলেন, আমাকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে ২ বছর আগে ৭ লাখ টাকা নিছে নাসির। এখনও দেয়নি। এ বিষয়ে জানতে নাসির মোল্যা বলেন, লাশ বাড়ি আনতে ৭ লাখ লাগবে তারা কিছু দিক আমি কিছু দেব। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কেউ এখনও অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মির্জা মাহামুদ হোসেন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোঃ রায়হান হুসাইন
হেড অফিস : মির্জা প্লাজা, রামকৃষ্ণ আশ্রম রোড, রুপগন্জ বাজার, নড়াইল সদর, নড়াইল।
বার্তা কহ্ম : 01993287209
Copyright © 2024 নড়াইল সংবাদ. All rights reserved.