নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাঐশোনা ইউনিয়নের পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামে দু’গ্রুপের হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০টি বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৪ জুন) রাত ৮টার দিকে ওই গ্রামের দোতলা জামে মসজিদের কাছে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হেকমত শেখের ছেলে তুহিন শেখ(৩৭) ও বাচ্চু সরদারের ছেলে তহিদ সরদার গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।
সরেজমিন জানা যায়, উপজেলার বাঐশোনা ইউনিয়নের পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামে তৈয়েব শেখ সৈয়েব শেখ, নওশের শেখ, কায়েম শেখের, রহমান সরদার, হাফিজুর সরদারসহ ৬টি বাড়ীঘর আংশিক ভাংচুর হয়। এ ঘটনায় হেকমত শেখের ছেলে তুহিন শেখ(৩৭) ও বাচ্চু সরদারের ছেলে তহিদ সরদার গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাদেও দু’জনকে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) ভোর ৬টায় হাফিজুর শেখ, সাহিদ শেখ, হেলাল শেখ, হাচিবুর শেখ, হাসান শেখ ও হোসেন শেখসহ ৬টি পরিবারের বসতঘর, মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত শহিদ শেখকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই গ্রামে দুটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন উকিল শেখ ও তৈয়ব শেখ। বিগত ১০-১১ বছর আগে তৈয়ব গ্রুপের গুলিবিদ্ধ তুহিনের চাচা আনিস শেখ, উকিল গ্রুপের মুনছুর বিশ্বাসের নিকট থেকে সরকারী ষ্ট্যাম্প মূলে ৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় ৪৫ শতক জমি খরিদ করে দখল বুঝে নেন। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দলিল না করে দিয়ে ২-৩ বছর পর জোর পুর্বক ওই জমি তারা দখল করে নেয়। এ নিয়ে অনেকবার সালিশে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা হলেও না দেওয়ায় দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ চলমান থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার উকিল গ্রুপের আহম্মদ বিশ্বাস ও মুকুল শেখ প্রতিপক্ষের দু’জনকে গুলি করে আহত করে বাড়ী ঘর ভাংচুর করে বলে জানান তৈয়ব শেখ গ্রুপের হেকমত শেখসহ আরও অনেকে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) প্রনব সরকার বলেন, কোন পক্ষই এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে বাড়ী ভাংচুর ও অস্ত্রের বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।