লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি:
বেশ কিছু গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় চাঁদাবাজি হচ্ছে, মানুষদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বেশি টহল বৃদ্ধি জোরদার করা প্রয়োজন। এছাড়া কিছু মামলা রাজনৈতিক ভাবে মানুষদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। অনেক নিরিহ মানুষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে তাদেরকে চাপে রাখা হচ্ছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নড়াইল লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব কথা বলেছেন, জামায়াতের জেলা কমিটির শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আলমগীর হোসাইন। তিনি আরও বলেন, লোহাগড়া উপজেলা একটি পরিচ্ছন্ন উপজেলা হলেও বিভিন্ন কর্ণারে মাদকের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কালনা, মোল্লার মাঠ এবং শিংগা এই এলাকা গুলোকে নজরদারিতে এনে পুলিশের অভিযান আরও জোরদার করা হলে মাদক কিছুটা হলেও নিয়োন্ত্রন করা যাবে।
সভার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা আজরিন তন্বী বলেন, চাঁদাবাজির কোন ঘটনা থাকলে সুনির্দৃষ্ট করে আমাদেরকে জানান। আমরা ব্যবস্থা নিব। তবে কেউ গুজবে কান দিবেন না। এসময় ইউএনও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সবাইকে সচেতন হবার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া কেউ যদি আইন না মানে সে ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন কঠোর হবে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিক কাজী আশরাফ তার বক্তব্যে বলেন, প্রতি সভায় নানা সমস্যার দিক তুলে ধরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্যগণ। সেই বিষয়গুলি রেজুলেশনও করা হয়। কিন্তু তার কোন ফলোআপ পরবর্তিতে আলোর মুখ দেখেনা উপজেলা বাসি। বিশেষ করে গত তিন বছর ধরে লোহাগড়া পৌরসভার বর্জ অব্যবস্থাপনার কথা বার বার বলেও পৌরবাসী তার কোন সুফল পায়নি। আশা করছি পৌর প্রশাসক মহোদয় এবার পৌরবাসীদের একটি দুর্গন্ধমুক্ত পৌরসভা উপহার দিবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও লোহাগড়া পৌরসভার প্রশাসক মিঠুন মৈত্র, লোহাগড়া আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন হাবিবুল আলম, লোহাগড়া থানার পুলিশ উপ- পরিদর্শক মো. খবির হোসেন, লোহাগড়া মুক্তিযোদ্দা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হামিদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধান, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।