নড়াইল প্রতিনিধি ঃ
নড়াইল সদরের গোবরা এলাকায় উন্নত জাতের ব্রি ধান-১০২ কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে গোবরা গ্রামের কৃষক বাদশা মোল্যার বাড়ির আঙিনায় মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ।
ফিড দ্যা ফিউচার বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এক্টিভিটি (সিএসএ) প্রকল্পের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে আরো উপস্থিত ছিলেন-বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন সংস্থার (আইএফডিসির) ফিল্ড সুপারভাইজার শরিফুল আলম মনি, কমিউনিটি অফিসার ফারজানা সুলতানা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিপন গাইন, কৃষক বাদশা মোল্যাসহ এলাকার কৃষক-কৃষাণীরা।
আইএফডিসির ফিল্ড সুপারভাইজার শরিফুল আলম মনি বলেন, ব্রি-১০২ জাতের ফলন যেমন বেশি, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এই জাতের ধান জিংক সমৃদ্ধ। ডায়রিয়া প্রতিরোধসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নারীদের ঋতু¯্রাবজনিত শারীরিক ঘাটতি দুর করে। ব্রি-১০২ জাতের ধানে ইউরিয়া সারের ব্যবহার একেবারেই কম। যেখানে আমরা তিন কেজি সার ব্যবহার করেছি, সেক্ষেত্রে কৃষক ব্যবহার করেছেন ছয় কেজি ইউরিয়া সার। একই জমিতে উন্নত জাতের ব্রি-১০২ ধান এবং কৃষকের রড মিনিকেট জাত লাগিয়ে ফলনের পার্থক্যও বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্রি-১০২ জাতের ধানে হেক্টরপ্রতি সাড়ে নয় টন ফলন হচ্ছে। আর কৃষকদের লাগানো জাতে সাড়ে সাত টনের বেশি ফলন হয় না। মাঠ দিবসের মাধ্যমে ব্রি-১০২ জাতের ধান এবং কৃষকদের ইচ্ছেমতো লাগানো জাতের পার্থক্য বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে উন্নত জাতের ব্রি-১০২ ধানের মাধ্যমে কৃষক যথেষ্ট উপকৃত হয়েছেন। এলাকার কৃষকরাও আমাদের এমনটি জানিয়েছেন। আমাদের এই কাজে সহযোগিতা করছে- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের কর্মকর্তারা। #